গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের চালানো হামলায় একদিনেই আরও ৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৩ জন ছিলেন ত্রাণ সংগ্রহে নিয়োজিত। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২২৪ জন।
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজার ২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ৪৯০ জন।
এছাড়া, চলতি বছরের ২৭ মে থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জিএইচএফ সংস্থার মাধ্যমে নতুন ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ২০৩ জন ত্রাণ সংগ্রাহক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৬ হাজার ২২৮ জনের বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও অপুষ্টিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এ নিয়ে গাজায় অনাহারজনিত মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২২-তে, যার মধ্যে ১২১ জন শিশু।
অন্যদিকে, ভোর থেকে ইসরায়েলের টানা হামলায় আরও অন্তত ৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশু ও ত্রাণ সংগ্রাহকও রয়েছে। দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায়—যা ইসরায়েল ঘোষিত তথাকথিত ‘মানবিক অঞ্চল’—সেখানেও একাধিক হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, গাজা থেকে বন্দি ইলান ওয়েইসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরেক বন্দির কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র উদ্ধার করা হলেও তার পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে চালানো হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং দুই শতাধিক মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়, যা এই যুদ্ধের সূচনা করে।