আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনদুর্ভোগ এড়াতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যস্ত সড়ক এড়িয়ে বিকল্প স্থানগুলোতে সভা-সমাবেশ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসি।
শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজারবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ৩২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা মহানগর এলাকায় ডিএমপির সর্বোচ্চ সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন থাকবে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “রাস্তা বন্ধ থাকায় গর্ভবতী নারী, মুমূর্ষু রোগী কিংবা পরীক্ষার্থীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন না। তাই জনদুর্ভোগ এড়াতে সড়কে নয়, বিকল্প স্থানে সভা-সমাবেশ ও কর্মসূচি আয়োজন করা জরুরি।”
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরের জনদুর্ভোগ এড়াতে সমাবেশ আয়োজনের জন্য ৯১টি স্থান প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে মতিঝিলে ১৫টি, তেজগাঁওয়ে ১২টি, লালবাগে ১৭টি, ওয়ারীতে ১৪টি, গুলশানে আটটি, মিরপুরে ১১টি, উত্তরায় ১০টি ও রমনায় চারটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা নগরীর যানজট, মাদক বিস্তার ও কিশোর গ্যাংয়ের সমস্যা তুলে ধরে এগুলো সমাধানে পুলিশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তারা আরও বলেন, ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য। নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা রোধেও পুলিশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, যানজট নিরসনে ডিএমপি নিরলসভাবে কাজ করছে। তবে শুধু পুলিশ নয়, ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ২৫টি সংস্থা জড়িত। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন পর দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও আসবেন। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস. এন. মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিমসহ ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ও বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।