বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করতে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল অডিটরিয়ামে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দুখের সঙ্গে বলতে হয়, একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন রকম উগ্রবাদের কথা বলে মানুষকে বিভক্ত করতে চায়। আজকে আমাদের সকলের দায়িত্ব হবে ৭১ সালে যেমন আমরা সবাই হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খিস্ট্রান, ক্ষুদ্র জাতি, বড় জাতি এক সাথে লড়াই করেছিলাম আমাদের ভূখন্ডের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, সার্বভৌমত্বের জন্য, আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সেভাবেই আমাদের আবার অধিকার রক্ষার জন্য, প্রত্যাশিত স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমাদের বিশ্বাস আছে, জনাব তারেক রহমান সাহেব এখন পর্যন্ত যে কথা বলেছেন, যে কাজ তিনি করেছেন, তাতে সকল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছি। এই নতুন বাংলাদেশে সবার মধ্যে একটি বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে— প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, “আপনারা যারা মনে করেন যে আপনারা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্য, তা সঠিক নয়। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান সবসময় বলেন— কখনো সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলা যাবে না। আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং সবার অধিকার সমান।”
তিনি আরও বলেন, অতীতে সব কাজ করা সম্ভব হয়নি এবং সব সময় সুবিচার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে ৩১ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে, তা বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনীতির মূল চাবিকাঠি। সেই ৩১ দফায় রেইনবো বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে। আর রেইনবো জাতির কথা বলা হয়েছে। আপনাদের সকলকে নিয়ে আমরা সত্যিকার অর্থে একটা রেইনবো রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। সেইটাই আমাদের লক্ষ্য।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৃগেন হাগিদগের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমাজাদ আলী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের সহসভাপতি সুভাস চন্দ্র বর্মণ, সহসভাপতি ড. অঞ্জন কুমার চিছাম, সুবাস চন্দ্র বর্মন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জন জেত্রা, বিন্যামিন আরেং, আইন বিষয়ক সম্পাদক বিপুল হাজং, জাতীয় হদি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সিংহ, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক হিমাংশু বর্মণ প্রমুখ।


